স্কুলগুলো জরুরি সময়ে এবং পরবর্তীকালে ছেলেমেয়েদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে বিবেচিত হয় এবং একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে স্কুলগুলো ছেলেমেয়েদের মনে স্বাভাবিক অবস্থার অনুভূতি ধরে রাখতে সহায়তা করে। স্কুলগুলোতে প্রতিবন্ধী শিশুদের অন্তর্ভুক্তি করা হলে সেটা একদিকে যেমন অপবাদ ও কালিমার বিরুদ্ধে লড়াই করাটা সহজ করে দেয়, পাশাপাশি শিশুদের ক্ষমতায়ন ও তাদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা করাকে শক্তিশালী করে।
- আশ্রয় শিবির কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রের কাছাকাছি নতুন স্কুল তৈরি করুন এবং নিশ্চিত করুন যে, স্কুলে যাওয়ার পথগুলো নিরাপদ ও প্রবেশগম্য।
- স্কুলগুলো অবকাঠামো, যোগাযোগ এবং মনোভাব/দৃষ্টিভঙ্গি, শিখন সামগ্রী ও ক্লাসরুম/শ্রেণিকক্ষের বিন্যাসের দিক থেকে অবশ্যই প্রবেশগম্য হওয়া উচিত্।
-
টয়লেট এবং ওয়াশরুমগুলো অবশ্যই যেন স্বাস্থ্যবিধি-সম্মত ও প্রবেশগম্যতার মানদন্ড অনুযায়ী আদর্শ হয় এবং স্কুলে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক টয়লেট ও ওয়াশরুম থাকা আবশ্যক।
- স্কুলে শিক্ষাদান এবং অনুশীলন বা চর্চাগুলো অবশ্যই এলাকার শিক্ষার্থীদের বৈচিত্র্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে এবং শিশুদের বৈচিত্র্যের সাথে মিলিয়ে যোগাযোগ পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত্।
এগুলো হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার কয়েকটি ভিত্তি; এবং একথা সবসময় মনে রাখা দরকার যে, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন ও কার্যক্রম পরিচালনার বাধাগুলো রাতারাতি দূর করা বা সমাধান করা সম্ভব নয়। স্কুলগুলোকে হয়তো কোন একটি দিক থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করা যেতে পারে কিন্তু একইসাথে সবকিছুতে অন্তর্ভুক্তিমূলক করা নাও যেতে পারে। একদিকে হলে অন্যদিকে নাও হতে পারে। আর তাই, কোন কিছু করা সম্ভব না হলে সেটাকে ব্যর্থতা হিসেবে না দেখে বরং স্কুলগুলোকে আরো বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রবেশগম্য করার জন্য কাজ করতে হবে।