কোন ধরনের পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে উঠা বসতি/আশ্রয়শিবিরে বসবাসরত নারী, পুরুষ, মেয়ে ও ছেলে প্রতিবন্ধীদের অবস্থা, অবস্থান ও তাদের চাহিদাগুলো বিশ্লেষণ ও বিবেচনা করার দরকার রয়েছে। কারণ এই ধরনের জনবসতিগুলোতে বেশিরভাগ সময় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে বসবাস করতে দেখতে পাওয়া যায়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে অগ্রাধিকার দিয়ে বসতি এলাকার নিরাপত্তা, প্রবেশগম্যতা এবং সেবাগুলোতে প্রবেশগম্যতা বাড়াতে হবে এবং সহায়তা করার নেটওয়ার্ক বজায় রেখে কিংবা সহায়তা করার নেটওয়ার্ক তৈরি করে নারী ও পুরুষ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্যদের জন্য বিকল্প আশ্রয়কেন্দ্র খুঁজে বের করতে হবে।
স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে উঠা বসতি/আশ্রয়শিবিরের উন্নতি করা
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কোথায় বসবাস করে শনাক্ত করে যেখানে নারী ও শিশুরা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বসবাস করছে সেখানে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে;
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সর্বাধিক কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে আশ্রয়শিবিরের মধ্যে হেঁটে হেঁটে দেখতে হবে। এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা ও বাধাগুলো চিহ্নিত করা সহজ হবে এবং কমিউনিটির মনোভাবও বোঝা সম্ভব হবে। এর ফলে বসতির উন্নতির জন্য কী কী করতে হবে সেই পরিকল্পনাগুলো করা সহজ হবে, উদারহরণস্বরূপ:
কাজের বিনিময়ে অর্থ কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করা;
চলার পথ বা হাঁটার রাস্তা উন্নত করা কিংবা মূল চলার পথে থাকা যে কোন ধরনের বাধা অপসারণ করে পথটিকে প্রবেশগম্য এবং হুইলচেয়ার বান্ধব করা। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হাঁটার সুবিধার্থে রশি বা বাঁশ দিয়ে হ্যান্ডরেইল বা হাতে ধরার রেলিং তৈরি করে দেয়া যেতে পারে;
আলোর ব্যবস্থা উন্নত করা এবং নিরাপত্তার সাধারণ মানদন্ডগুলো মেনে চলা ইত্যাদি।
দুর্গম স্থানে বসবাসকারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করে দেখুন যে তাদেরকে দুর্গম স্থান থেকে সম্ভাব্য অন্য কোথায় স্থানান্তরিত করা সম্ভব হয়; এমনকি প্রয়োজনে তাদের সম্মতির প্রেক্ষিতে আশ্রয়শিবিরের বাইরে অন্য কোন এলাকায়ও স্থানান্তর করা যেতে পারে। তবে একথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিশেষ করে নারী প্রতিবন্ধী, শিশু প্রতিবন্ধী এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কিংবা মনোসামাজিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তা নেটওয়ার্কের বাইরে কখনোই রাখা যাবে না।