র্যাম্প ভবনগুলোতে থাকা সিড়ি কিংবা খাঁড়া প্রবেশপথের কারণে যে বাধা সেটাসহ ধোওয়ার স্থানে এবং/অথবা অন্যান্য সেবা পেতে সেবাস্থলে যাওয়ার যে বাধা সেই সকল বাধা দূর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। তবে একথা ভাবার কোন কারণ নেই যে র্যাম্প তৈরি করতে অনেক খরচ লাগে, আদতে তা লাগেও না। র্যাম্প তৈরির জন্য দরকার ভালো পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি।
যদি কোন স্থানের বাইরের ভূমির পৃষ্টের উচ্চতার সাথে ভেতরের উচ্চতার পার্থক্য থাকে, সেক্ষেত্রে ওখানের প্রবেশপথকে প্রবেশগম্য করার জন্য র্যাম্প বসানোর দরকার হয় (নিচের ছবিগুলোতে প্রেক্ষাপট ও নির্মাণের উপর নির্ভর করে তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের র্যাম্পের উদাহরণ দেখানো হলো)।
একটি র্যাম্পের জন্য সুপারিশকৃত ঢাল হবে ১:২০ (৫%)। যদি র্যাম্পের ঢাল ১:২০ হয় তাহলে র্যাম্পের দৈর্ঘ্য ১০ মিটারের কম হওয়া উচিত্ নয়;
যদি র্যাম্পের ঢাল কোন কারণে (কারিগরি/প্রযুক্তিগতভাবে) সুপারিশকৃত ১:২০ করা না যায় তাহলে র্যাম্পের ঢাল সর্বোচ্চ ৮% (১:১২) পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবে ঢাল যদি ১:১২ হয় তাহলে র্যাম্পের দৈর্ঘ্য কোনমতেই ২ মিটারের চেয়ে যেন কম না হয়;
অবতরণ এলাকাগুলো র্যাম্পের উপরে ও নিচে স্থাপন করতে হবে যেখানে ন্যূনতম মেঝের আকার হবে ১৫০ সেমি x ১৫০ সেন্টিমিটার।
হ্যান্ডরেইল বা হাতে ধরার রেলিং র্যাম্পের উভয় পাশে লাগাতে হবে, যা র্যাম্পের লেভেল থেকে ৭০ সেমি ও ৯০ সেন্টিমিটার উপরে থাকবে;
র্যাম্প যদি ব্যক্তিগত আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য নির্মাণ করা হয় তাহলে প্রস্থ অবশ্যই কমপক্ষে ৯০ সেন্টিমিটার হবে এবং র্যাম্প যদি জনসমাগম আছে এমন স্থানে স্থাপন করা হয় তাহলে সেই র্যাম্প প্রস্থে কমপক্ষে ১৫০ সেন্টিমিটার হবে;
র্যাম্পে চাকার নিরাপত্তার জন্য হুইল গার্ড কিংবা ক্রাচ স্টপগুলো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিংবা ক্রাচ ব্যবহারকারীদের জন্য সমানভাবে দরকারি বা উপকারী। এই ধরনের হুইল গার্ড বা ক্রাচ স্টপগুলো র্যাম্পের প্রান্তে লাগানো থাকে, যা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে পথ দেখাতে সাহায্য করে। কাঠের ছোট্ট টুকরো (সর্বোচ্চ ১.৫ সেন্টিমিটারের বেশি নয়) স্ক্রু দিয়ে লাগিয়ে র্যাম্প তৈরি করা হয়েছে।