এমন কিছু সময় আসে যখন প্রবাহমান পানিতে প্রবেশগম্যতা থাকা খুবই জরুরি হয়ে পড়ে। এই সময়ে প্রবাহমান পানিতে প্রবেশগম্যতা না থাকলে অনেক দরকারি কাজ করা যায় না। এমনকি স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য পরিস্থিতি আরো বেশি নাজুক হয়ে পড়ে। যেমন, কোভিড-১৯ এর প্রতিরোধে ঘন ঘন হাত ধোওয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রবাহমান পানি নিয়ে সমস্যা সমাধানে কিছু উপায়ের কথা নিচে বলা হয়েছে:
পাত্রে করে পানি বিতরণ করার মাধ্যমে হাত ধোওয়ার কাজটি চালিয়ে নেওয়া যেতে পারে
স্থানীয় উপকরণ দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে (ছবিতে দেখুন)। এই ধরনের ব্যবস্থা তৈরির ক্ষেত্রে সার্বজনীন নকশাব্যবহার করতে হবে (হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত উচ্চতা বজায় রাখা,হাতল/হ্যান্ডেলযেন সবার জন্য প্রবেশগম্য/ব্যবহারউপযোগী হয়, পানির কাছে যাওয়ার পথ যেন সবার জন্য প্রবেশগম্য হয়,পানির স্থানের চারপাশ যেন উজ্জল রং দ্বারাচিহ্নিত করা থাকে ইত্যাদি)
*****************************************
জরুরি পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পরিস্কার পানিতে সকলের প্রবেশগম্যতা থাকা একটি মৌলিক বিষয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে খাবার পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যবিধি/ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কিংবা চাষাবাদের জন্য সেচের পানির জন্য অন্যের উপর নির্ভর করাটা অনিরাপদই শুধু নয় এতে করে ব্যক্তিগত ক্ষতির ঘটনাও ঘটতে পারে।
পানি ও স্যানিটেশন সুবিধাতে প্রবেশগম্যতা থাকা দরকার। যার মধ্যে রয়েছে টয়লেট, দরজা আছে ও দরজা বন্ধ করা যায় এমন গোসলখানা, ধোওয়ার জায়গা থাকাটা প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা। পানি সুবিধা বা পানি সম্পদে পূর্ণ প্রবেশগম্যতা না থাকায় নারী, পুরুষসহ প্রবীণ ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধী মেয়ে ও ছেলেরা যৌন নিপীড়ন, আর্থিক শোষণ এবং স্বাস্থ্যের অবনতির মতো পরিণতিগুলোর সম্মুখীন হয়। এছাড়াও পানিতে প্রবেশগম্যতা না থাকায় জনসমাগম হয় এমন স্থানে যাওয়া সীমিত করার পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠান ও সম্প্রদায়ের কাজকর্মে অংশগ্রহণের ক্ষমতাকে সীমিত করতে পারে। জরুরি অবস্থাতে যদি সঠিকভাবে আগাম পরিকল্পনা করা হয় তাহলে নিরাপদ পানিতে প্রবেশগম্যতার ব্যবস্থা করা করা খুবই সহজ: কুয়া, হ্যান্ডপাম্প/ হস্তচালিত কল, ওয়াশরুম/বাথরুমে পানির ব্যবস্থা করার জন্য কার্যক্রমের শুরুতেই বাজেট তৈরি করতে হবে।