জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার কোন কর্মসূচি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনা করার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে খেয়াল রাখার দরকার হয়, সেটা হলো বিভিন্ন চাহিদা ও দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ কীভাবে জরুরি অবস্থার সাথে এবং ওই পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেবে। পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর সাথে অনেক বিষয়ই জড়িত, যার মধ্যে পরিবহন ও চলাফেরার বিষয়ও রয়েছে। সকল সেবা ও সুযোগ সুবিধা অবশ্যই সবার কাছে সহজলভ্য বা সহজে পৌঁছানোর ব্যবস্থা থাকা দরকার।
-
যাচাই বা মূল্যায়নকাল ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন বা সভায় মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য যেখানে প্রয়োজন সেখানে চলাচল ও পরিবহন প্রবেশগম্য ও নির্ভরযোগ্য করতে হবে। এর ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রবীণ ব্যক্তি, নারী, মেয়েশিশু ও শিশুরা কোন ধরনের বাধা ছাড়াই নিরাপদে অংশ যাচাই বা মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে;
- ক্যাম্প বা শিবির, বসতি এলাকা বা শহুরে কেন্দ্র থেকে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাহিদাগুলো নিরূপণ করুন এবং তাদের প্রয়োজনানুযায়ী তাদেরকে পরিবহনসহ অন্যান্য সহায়তা প্রদান করুন (এজন্য বাড়তি নগদ হস্তান্তর/সহায়তা দরকার হলে দিন);
- একথা মনে রাখা আবশ্যক যে, নারী ও মেয়ে প্রতিবন্ধীদের একাকী ভ্রমেণের দরকার হতে পারে, ফলে তাদের ভ্রমণ যাতে নিরাপদ হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের সাথে সঙ্গীর যাওয়ার দরকার হতে পারে;
- গণপরিবহন যখন সহজলভ্য ও প্রবেশগম্য হয় তখন দেখুন যে ওই গণপরিবহন নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে থামে কিনা, যেমন: বিতরণ কেন্দ্র, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, একত্রিত হওয়ার কেন্দ্র/গণজমায়েত কেন্দ্র, এটিএম বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক ক্যাশ পয়েন্ট, স্কুল, মার্কেট বা বাজার, পানি সংগ্রহের পয়েন্ট ইত্যাদি;
- বিতরণ কার্যক্রম চলাকালে, যেহেতু আশ্রয় বা থাকার জন্য প্রদত্ত সরঞ্জাম, পানি, খাবার এবং খাবার নয় এমন সামগ্রী আকারে বড় ও ওজনে বেশি হতে পারে তাই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দরকার হতে পারে, যাদের তেমন প্রয়োজন রয়েছে;
- বন্ধু বা সতীর্থের মাধ্যমে একে অন্যকে সহযোগিতার একটি পদ্ধতিও গড়ে তোলা যেতে পারে (আবার ব্যক্তিগত সহকারী থাকতে পারে যিনি দিনে কয়েকঘণ্টার জন্য সহায়তা করবেন)।